মঙ্গলবার, ৭ এপ্রিল, ২০১৫

অঞ্চলভেদে ভূমি জরিপের আঞ্চলিক পরিমাপ

আমাদের দেশে অঞ্চলভেদে বিভিন্ন প্রকারের মাপ ঝোক প্রচলিত রয়েছে। এগুলো হলো কানি-গন্ডা, বিঘা-কাঠা ইত্যাদি। অঞ্চলে ভেদে এই পরিমাপগুলো আয়তন বিভিন্ন রকমের হয়ে তাকে। বিভিন্ন অঞ্চলে ভূমির পরিমাপ বিভিন্ন পদ্ধতিতে হলেও সরকারি ভাবে ভূমির পরিমাপ একর, শতক পদ্ধতিতে করা হয়। সারাদেশে একর শতকের হিসাব সমান।

 

কানিঃ
কানি দুই প্রকার। যথা-
(ক) কাচ্চা কানি
(খ) সাই কানি

কাচ্চা কানি: ৪০ শতকে এক বাচ্চা কানি। কাচ্চা কানি ৪০ শতকে হয় বলে একে ৪০ শতকের কানিও বলা হয়।

সাই কানিঃ
এই কানি কোথাও ১২০ শতকে ধরা হয়। আবার কোথাও কোথাও ১৬০ শতকেও ধরা হয়।
 

কানি গন্ডার সাথে বিভিন্ন প্রকারের পরিমাপের তুলনাঃ

২ কানি ১০ গন্ডা (৪০ শতকের কানিতে) = ১ একর
১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট
১ কানি = ১৯৩৬ বর্গগজ
১ কানি = ১৬১৯ বর্গমিটার
১ কানি = ৪০ বর্গ লিঙ্ক
১ একর = ১০ বর্গ চেইন
১ একর = ১০০ শতক
১ একর = ৪,০৪৭ বর্গমিটার
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ শতক = ১ গন্ডা বা ৪৩২.৬ বর্গফু

ভূমি জরিপে বিঘা কাঠার হিসাব

১ বিঘা = (৮০ হাত×৮০ হাত) ৬৪০০বর্গহাত
১ বিঘা = ২০ কাঠা
১ কাঠা = ১৬ ছটাক
১ ছটাক = ২০ গন্ডা
১ বিঘা = ৩৩,০০০ বর্গলিঙ্ক
১ বিঘা = ১৪,৪০০ বর্গফুট
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট
১ ছটাক = ৪৫ বর্গফুট

 

লিঙ্ক এর সাথে ফুট ও ইঞ্চির পরিবর্তনঃ
১ লিঙ্ক = ৭.৯ ইঞ্চি
৫ লিঙ্ক = ৩ ফুট ৩.৬ ইঞ্চি
১০ লিঙ্ক = ৬ ফুট ৭.২ ইঞ্চ
১৫ লিঙ্ক = ৯ ফুট ১০.৮ ইঞ্চি
২০ লিঙ্ক = ১৩ ফুট ২.৪ ইঞ্চি
২৫ লিঙ্ক = ১৬ ফুট ৬.০ ইঞ্চি
৪০ লিঙ্ক = ২৬ ফুট ৪.৮ ইঞ্চি
৫০ লিঙ্ক = ৩৩ ফুট
১০০ লিঙ্ক = ৬৬ ফুট

 

এয়র হেক্টর হিসাবঃ
১ হেক্টর = ১০,০০০
১ হেক্টর = ২.৪৭ একর
১ হেক্টর = ৭.৪৭ বিঘা
১ হেক্টর = ১০০ এয়

বর্গফুট/বর্গগজ অনুযায়ী ভূমির শতকরা & একরের পরিমাপ

৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর ধরে
৪৮৪০ বর্গগজ = ১ একর
৪৩৫৬০ বর্গফুট= ১ একর
১৬১৩ বর্গগজ= ১ বিঘা
১৪৫২০বর্গফুট= ১ বিঘা
৪৩৫.৬০ বর্গফুট= ০১ শতাংশ
৮০.১৬ বর্গগজ= ১ কাঠা
৭২১.৪৬ বর্গফুট= ১ কাঠা
৫.০১ বর্গগজ = ১ ছটাক
২০ বর্গহাত = ১ ছটাক
১৮ ইঞ্চি ফুট= ১ হাত (প্রামাণ সাই

মিলিমিটার & ইঞ্চির পরিমাপ

১ মিলিমিটার= ০.০৩৯৩৭ (প্রায়)
১ সেন্টিমিটার= ০.০৩৯৩৭ (প্রায়)
১ মিটার = ৩৯.৩৭ ইঞ্চি বা ৩.২৮ ফুট/ ১.০৯৩ গজ (প্রায়)
১০০০ মিটার = ১ কিলোমিটার
১ কিলোমিটার= ১১ শত গজ
২ কিলোমিটার = (সোয়া মাইল)
১৭৬০ গজ = ১ মাইল
১৩২০ গজ = পৌন এক মাইল।
৮৮০ গজ = আধা মাইল
৪৪০ গজ = পোয়া মাইল।
১ বর্গ মিটার = ১০.৭৬ বর্গফুট (প্রায়)
১ হেক্টর = ২.৪৭ একর (প্রায়)
১ ইঞ্চি = ২.৫৪ সেন্টিমিটার (প্রায়)

ভূমি জরিপের প্রাথমিক কথা

ভূমি সংক্রান্ত যাবতীয় দলিলাদি লিখন, সরকারি হিসাব ও অফিসের কাজ ইত্যাদি যাবতীয় বিষয়ে ভূমির পরিমাপ হলো:
(১) ডেসিমেল বা শতাংশ বা শতক
(২) কাঠা,
(৩) বিঘা এবং
(৪) একর
এই পরিমাপ সর্ব এলাকায় সর্বজন গৃহীত। এটা "সরকারি মান" ( Standard Measurement) বলে পরিচিত।

উক্ত পরিমাপের কতিপয় নিম্নে প্রদান করা হলোঃ
 ইঞ্চি, ফুট ও গজঃ
১২'' ইঞ্চি = ১ ফুট
৩ ফুট= ১ গজ

ভূমি যে কোন সাইজের কোন ভূমির দের্ঘ্য ও প্রস্থে যদি ৪৮৪০ বর্গগজ হয় তাহলে এটা ১.০০ একর (এক একর) হবে।
যেমনঃ ভূমির দৈর্ঘ্য ২২০ গজ এবং প্রস্থ ২২ গজ সুতরাং ২২০ গজ×২২ গজ= ৪৮৪০ বর্গগজ

জমির তিনিটি প্রধান ডকুমেন্ট

জমির তিনটি ডকুমেন্ট হলোঃ

১। দলিল এবং বায়া দলিল (বা বিক্রেতার মূল দলিল)
২। খতিয়ান
৩। ডিসিআর (ডুপ্লিকেট কার্বন রিসিট)

১। দলিল এবং বায়া দলিল:
মূল দলিলে মালিকের নাম, এবং কার কাছ থেকে কেনা হয়েছে সেই তথ্য উল্লেখ থাকে। এছাড়া জমির তফসিল পরিচয় বা ঠিকানার বর্ণনা (মৌজা, দাগ নম্বর, জমির চতুর্দিকে সীমানা নির্ধারনী স্থাপনা) উল্লেখ করা হয়। 
বায়া দলিল হল জমিটি যার কাছ থেকে ক্রয় করা হয়েছে সেই মালিকের দলিল। বায়া দলিল ছাড়াও সংশ্লিষ্ট জমির পূর্বতন সকল কেনাবেচার দলিল থাকা প্রয়োজন। 

২। খতিয়ান: 
খতিয়ান বা পর্চা হল জমির মালিকের নাম ও ঠিকানার লিস্ট। অন্যভাবে বলা যায়, জমির স্বত্বাধিকারীর ইতিহাস বা মালিকানার রেকর্ড। 

সাধারনত মাঠপর্যায়ের ভূমি জরিপের সময় খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়। তবে, কেনাবেচার পর বা মালিকানা পরিবর্তনের পর নতুন মালিকের নামে মিউটেশন করার পর খতিয়ান জারি করা হয়। বায়া দলিলের মতই, পুরোনো সকল খতিয়ান সংরক্ষণ করা জরুরী। 

বাংলাদেশের জন্মের পূর্বলগ্ন থেকে এপর্যন্ত মোট চারটি জরিপ করা হয়েছে। এগুলো হলো সময়ের ক্রমানুসারে:
সিএস: (কেডেস্ট্রাল সার্ভে): ১৮৮৫ সালে শুরু এই জরিপ প্রথম বারের মত জমির রেকর্ড হিসেবে পরিচিত। জরিপ কার্য ১৮৯৮ সালে শেষ হয়। 
আরএস: (রিভিশনাল সার্ভে): সিএস এর ভুলত্রুটি সংশোধন করে প্রায় ৫০ বছর পর এই জরিপ খতিয়ান প্রস্তুত করা হয়।
এস এ (স্টেট একুইজিশন সার্ভে): ১৯৫০ সালে জমিদারি জমি অধিগ্রহনের পর এই জরিপ পরিচালনা করা হয়। 
বি এস (বাংলাদেশ সার্ভে): সর্বশেষ এই জরিপ ১৯৯০ সালে পরিচালিত হয়। ঢাকা অণ্চলে মহানগর জরিপ হিসেবেও পরিচিত।

৩। ডিসিআর: 
মূল মালিকের নামে খাজনা নির্ধারনের আগে, এই নোটিশ জারি হয়। ডকুমেন্ট এর মূল কপি থাকে ভূমি অফিসে, মালিককে কার্বন কপি দেয়া হয়।
এছাড়া উত্তরাধিকার সূত্রে মালিকানা স্বত্ত্ব দাবি করতে লাগবে সাকসেশন সার্টিফিকেট। বর্তমানে এই সার্টিফিকেট সংশ্লিষ্ট ওয়ার্ড কমিশন অফিস থেকে সংগ্রহ করা যায়। 
দলিলে ব্যবহৃত কিছু অপ্রচলিত শব্দের অর্থ:

পর্চা: জরিপ চলাকালীন অবস্থায় খতিয়ানের যে খসড়া প্রস্তুত করা হয় তার অনুলিপি।
গং: গয়রহ বা সকল
দোং: পিতা
জং: স্বামী
আং: স্বামী
জমা: খাজনা
কস্য: দলিল মালিকের নামের পরিবর্তে ব্যবহৃত প্রতিশব্দ
তছদিক: প্রমান
ফারায়েজ: মৃত ব্যক্তির সম্পত্তির ইসলামি নিয়মানুসারে বন্টন
হেবা: দানপত্র

bd civil work

www.bdcivilwork.blogspot.com     হলো বাংলাদেশি সিভিল, কন্সট্রাকশন, আর্কিটেকচার,  সার্ভে পড়ুয়া বা এই পেশায় নিয়জিত ব্যাক্তিদের জন্য একটা প্লাটফরম।  যেখানে আপনি পাবেন  সিভিল, কন্সট্রাকশন, আর্কিটেকচার,  সার্ভে সম্পর্কিত  সকল তথ্য।
ফেসবুকে আমরা

শনিবার, ৪ এপ্রিল, ২০১৫

আর.সি.সি একমুখি স্ল্যাব ডিজাইনের নীতি (principle of rcc one away slab)


আরসিসি একমুখী সলিড স্ল্যাবের নুন্যতম পুরুত্ব :
স্ল্যাব ডিফ্লেকশনের পরিমান
বিবেচনা ব্যাতিরেকে ACI কোড
অনুযায়ী ওয়ান ওয়ে স্ল্যাব এর নুন্যতম পুরুত্ব বা গভীরতা হবে,
1. সাধারনভাবে স্থাপিত স্ল্যাবের নুন্যতম পুরুত্ব , t=L/25
2. আংশিক বিছিন্ন স্ল্যাবের নুন্যতম পুরুত্ব , t=L/30
3. সম্পূর্ণঅবিছিন্ন স্ল্যাবের নুন্যতম পুরুত্ব , t=L/35
4. ক্যান্টিলিভার স্ল্যাবের নুন্যতম পুরুত্ব , t=L/12

স্ল্যাবের আনুমানিক পুরুত্ব বা গভীরতাঃ
t=প্রতি মিটার কার্যকারী স্প্যান দৈর্ঘ্য 3.3 সেমি থেকে 4 সেমি ধরা হয়।
অর্থাৎ, t=0.033L থেকে 0.04L ধরা হয়।
ACI কোড অনুযায়ী ওয়ান ওয়ে স্ল্যাব
এর পুরুত্ব 7.5 সেমি এবং মেঝে স্ল্যাবের পুরুত্ব 9 সেমি এর কম হওয়া উচিত নয়।
তবে ACI কোড অনুসারে বর্তমানে 10 সেমি এর কম পুরুত্বের স্ল্যাব ঢালাই করা হয় না।

একমুখী স্ল্যাব এ সংকোচন ও তাপীয় রডের প্রয়োজনীয়তা:
ঢালাই করার পর শক্ত হওয়ার ফলে কংক্রিটের সংকোচন ঘটে এবং তাপমাত্রার তারতম্যের ফলে কংক্রিট সংকুচিত ও প্রসারিত হয়। সেজন্য স্ল্যাবের মধ্যে সৃষ্ট পীড়ন প্রতিরোধ করার জন্য রড ব্যবহার করা হয়।
একমুখী স্ল্যাবে ব্যবহৃত প্রধান রডগুলো এদের আড়াআড়ি দিকের ফাটল সৃষ্টিকারী তাপ পীড়ন প্রতিরোধ করতে পারে না। সুতরাং এ তাপ পীড়ন প্রতিরোধের জন্য প্রধান
রডের আড়াআড়ি তাপীয় রড ব্যবহার করা হয়।

তাপীয় রডের নুন্যতম পরিমাণ:
মসৃণ বারের ক্ষেত্রে = 0.0025bt
ডিফর্মড বারের ক্ষেত্রে = 0.0018bt থেকে 0.002bt
এখানে,, bt= স্ল্যাবের বিবেচিতভফালির প্রস্থচ্ছেদীয় ক্ষেত্রফল

আর.সি.সি একমুখি স্ল্যাব ডিজাইনের ধাপসমুহ:
একমুখীস্ল্যাব ডিজাইনের ক্ষেত্রে, স্ল্যাবের প্রস্থকে স্প্যান হিসেবে ধরা হয় এবং প্রস্থ বরাবর 1 মিটার বিশিষ্ট ফালি ধরে বীমের ন্যায় ডিজাইন করা হয়।
ধাপ ১: ডিজাইন লোড নির্ণয় স্ল্যাবের নিজস্ব ওজনঃ
স্লাবের গভীরতা নির্ণয় করে একক ওজনের সাহায্য প্রতি বর্গমিটার স্ল্যাবের ওজন ণির্ণয় করা হয়।
স্ল্যাবের প্রতি বর্গমিটারে লাইভ লোড ও অন্যান্য ডেড লোডের পরিমাণ।

স্প্যানের উপড় মোট বিস্তৃত লোড W={(স্ল্যাবের নিজস্ব ওজন+লাইভ লোড ও অন্যান্য লোড)X স্প্যান দৈর্ঘ্য }কেজি

ধাপ ২: সর্বোচ্চ শিয়ারঃ
1. সাধারনভাবে স্থাপিত/ অবিছিন্ন স্ল্যাবের ক্ষেত্রে, সর্বোচ্চ শীয়ার V=W/2 kg হবে।
2. আংশিক অবিছিন্ন স্ল্যাবের ক্ষেত্রে,
বিছিন্ন প্রান্তে শিয়ার বল, V=0.4W
অবিছিন্ন প্রান্তে শিয়ার বল, V=0.6W

ধাপ ৩: সর্বোচ্চ বেন্ডিং মোমেন্টঃ
সাধারনভাবে স্থাপিত হলে M = (wl/8)X100 kg-cm
পুরোপুরি অবিছিন্ন হলে M = (wl/12)X100 kg-cm
আংশিক অবিছিন্ন হলে M = (wl/10)X100 kg-cm

ধাপ ৪: স্ল্যাবের গভীরতাঃ
স্ল্যাবের কার্যকরীভগভীরতা, d=route over(M/Rb)
এখানে, M= সর্বোচ্চ বেন্ডিং মোমেন্ট
b= বিবেচিত ফালির প্রস্থ =1m=100cm
এবং R=1/2 fcjk
K=n/{n+(fs/fc)}
J=1-(k/3)
মোট গভীরতা =কার্যকরী গভীরতা +(রডের ব্যাস/২)+মুক্ত কাভারিং
উল্লেখ্য যে, মোট গভীরতার মানভআনুমানিক পুরুত্বের চেয়ে বেশি হবে না।

ধাপ ৫: টান রডের ক্ষেত্রফলঃ
এক মিটার স্ট্রিপ এর জন্য রিইনফোর্সমেন্ট এর পরিমাণ As=M/fsjd
রডের কেন্দ্র থেকে কেন্দ্র পর্যন্ত দুরুত্ব S=(bxas)/As
যেখানে, b=100cm
এবং as=নির্ধারিত সাইজের একটি রডের ক্ষেত্রফল, প্রধান রডের সর্বোচ্চ ব্যবধান স্ল্যাবের পুরুত্বের 3 গুন বা ৪৫ সেমি এর বেশি হবে না।

ধাপ ৬: শিয়ার পীড়নঃ
সাপোর্টে সর্বোচ্চ শিয়ার পীড়ন, V= V/bd
সাপোর্ট থেকে দুরুত্বেশিয়ার স্ট্রেস , V= Vcr/bd
Vএর মান vc অপেক্ষা কম হলে স্ল্যাবটি নিরাপদ।
অতএব, vc=0.292(route over f’c)

ধাপ ৭: বন্ড স্ট্রেসঃ
বন্ড স্ট্রেস এর মান,u=V/summation of 0 x jd Summation of 0=NxpaixD [N=b/s]
প্রাপ্ত বন্ড স্ট্রেস এর পরিমান সর্বদা অনুমোদনযোগ্য বন্ড স্ট্রেস এর চেয়ে কম হবে।

অনুমোদনযোগ্য বন্ড পীড়ন:
টপ বারের ক্ষেত্রে ,=2.29xroute over f’c/D এবং সর্বোচ্চ 24.6 কেজি/বর্গসেমি
অন্যান্য বারের ক্ষেত্রে ,=3.23xroute over f’c/D এবং সর্বোচ্চ 35.2 কেজি বর্গসেমি
এখানে, D= প্রধান রডের ব্যাস

ধাপ ৮: সংকোচন তাপ রডের ক্ষেত্রফলঃ
মসৃণ বারের ক্ষেত্রে A’s= 0.0025bt
ডিফর্মড বারের ক্ষেত্রে A’s= 0.0018bt থেকে 0.
002bt তাপ রডের ব্যবধান s=100as A’s
এখানে, as=একটি তাপ রডের
প্রস্থচ্ছেদের ক্ষেত্রফল।
ACI কোড অনুযায়ী তাপ রডের সর্বোেচ্চ ব্যবধান স্ল্যাব পুরুত্বের ৫ গুন অথবা 45 সেমি এর বেশি না। ‍

রি-ইনফোর্স বার চেইক করার বিবেচ্য বিষয়সমুহ

ড্রয়িং এর নাম্বার ও তারিখ ঠিক আছে কিনা বার বেন্ডিং শিডিউল করা আছে কিনা
18 গেজ তার দিয়ে ঠিকমত রড বাধা হয়েছে কিনা তা ভালমত চেইক করতে হবে।
কোন পরিবর্তন থাকলে সেটা করা হযেছে কিনা দেখে নিতে হবে। বর্তমান রডের সাথে নতুন রডের এলাইনমেন্ট ঠিক থাকতে হবে
বারের সাইজ ও স্পেসিং ড্রয়িং অনুসারে থাকতে হবে।
চেয়ার দেয়া আছে কিনা ঠিক মত
রি-ইনফোর্সমেন্ট এর ক্লিয়ার কভার ঠিক আছে কিনা দেখতে হবে।
ক্লিয়ার কভারের জন্য ব্লক তৈরি আছে কিনা, এবং ব্লক ঠিকমত দেয়া হয়েছে কিনা
অতিরিক্ত রি-ইনফোর্সমেন্ট দেয়া হলে তার
রেকর্ড রাখতে হবে এবং সাইন নিতে হবে
কন্সট্রাকশন জয়েন্ট ঠিক আছে কিনা রড বসানোর পুর্বেই তা চেক করে নিতে হবে
সেই বারের ডায়া যেখানে হবে, ড্রয়িং অনুসারে সেখানে থাকতে হবে।
রিবারের টেষ্ট রেজাল্ট থাকতে হবে ল্যাপিং লেন্থ ও পজিশন ঠিক আছে কি না।

নির্মাণ কাজের এককসমূহ


১ মাটি কাটা ও মাটি ভরাটের কাজের একক =ঘনমিটার
২ বালি ভরাটের কাজের একক= ঘনমিটার
৩ ভিতে ও মেঝেতে সিমেন্ট কংক্রিটের কাজের একক =ঘনমিটার
৪ আর.সি.সি কাজের একক=(কলাম,বীম,ছাদ,....) ঘনমিটার
৫ এক স্তর ফ্ল্যাট সোলিং এর কাজের একক =বর্গমিটার
৬ ডিপিসির কাজের একক= বর্গমিটার
৭ জলছাদের বা লাইম ট্রেসিং এর কাজের একক =বর্গমিটার
৮ প্লাস্টারিং এবং পয়েন্টিং এর কাজের একক =বর্গমিটার
৯ চুনকাম,রংকরণ, ডিস্টেম্পার এর কাজের একক = বর্গমিটার
১০ দরজা,জানালা ও গ্রিলে রংকরণ এর কাজের = একক বর্গমিটার
১১ নিট সিমেন্ট ফিনিশিং এর কাজের একক = বর্গমিটার
১২ দরজা-জানালায় কাঁচের কাজের একক = বর্গমিটার
১৩ মোজাইক,টালি এবং প্যাটেন্ট স্টোনের কাজের একক = বর্গমিটার
১৪ বারান্দা,সিড়ির রোলিং এর কাজের একক = বর্গমিটার
১৫ দরজা ও জানালার বিভিন্ন ফুটিং এর কাজের একক = সংখ্যা
১৬ ২৫ সেমি. ইটের গাঁথুনীর কাজ ঘনমিটার
১৭ ১২.৫ সেমি. ইটের গাঁথুনীর কাজ বর্গমিটার
১৮ চৌকাঠের কাজের একক ঘনমিটার
১৯ কাঠের পাল্লার কাজের একক বর্গমিটার
২০ এম.এস রডের কাজের একক টন বা কুইন্টা

কংক্রিট স্থাপন (Setup of Concrete)


প্রাথমিক জমাট বাধা সময় আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই কংক্রিট স্থাপন এবং কম্পাকশন করা উচিত। কংক্রিট স্থাপনায় বিশেষ সতকর্তা অবলম্বন করা প্রয়োজন। উঁচু হতে কংক্রিট
ফেলে দিলে অপেক্ষাকৃত ভারি কণাগুলো নিচে পড়ে যায় এবং কংক্রিট উপাদানসমুহের সেগ্রিগেশন ঘটে।
কংক্রিটে এটা সর্বোতভাবে পরিহার্রয।তাই
আনুভুমিক স্তরে স্তরে কংক্রিট স্থাপন
করতে হয়। এ জন্য কোন অবস্থাতেই এক মিটারের বেশি উঁচু স্থান হতে কংক্রিট ফেলা উচিত নয়।
কংক্রিট স্থাপনের পূর্বে ফর্মওয়ার্ক শক্ত এবং ঠিক অবস্থানে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ফর্মওয়ার্ক এর অন্তঃস্থ প্বার্শ পরিষ্কার ও
তৈলাক্ত হতে হবে। জোড় সংখ্যক স্তরে কংক্রিট স্থাপন করতে হবে। প্রতি স্তরে ১৫-৩০ সেমি ‍পুরুত্বের কংক্রিট স্থাপন করতে হবে।

একটি স্তরকে কম্পাকশন করার পর পরবর্তী স্তরের কংক্রিট স্থাপন করতে হবে। শক্ত হওয়ার পূর্বে কংক্রিট স্থাপনের কাজ শেষ
করতে হবে।কোন অবস্থাতেই কংক্রিট মিশ্রণে পুনরায় পানি দেওয়া যাবে না। কম্পাকশন
করার সময় যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত
কংক্রিটকে পুন:স্থাপন করতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অন্যথায় সাটারিং, রিইনফোর্সমেন্ট এবং অন্যান্য দ্রব্য স্থানচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।

কংক্রিট স্থাপনার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলো মেনে চলা উচিতঃ
অবিরামভাবে কংক্রিট স্থাপন করতে হবে।
অনিয়মিত এবং খাড়াভাবে ফেলা যাবে না।
কংক্রিট স্থাপনের পূর্বেই ফর্মওয়ার্ককে ভালভাবে তৈলাক্ত করতে হবে।
কংক্রিট স্থাপনার সময় ফর্মওয়ার্ক ও
রিইনফোর্সমেন্টকে আলোড়িত করা চলবে না।

সেগ্রিগেশন পরিহার করতে হবে।তাই ১ মিটারের বেশি উচু স্থান হতে কংক্রিট ফেলা যাবে না। বৃষ্টির মধ্যে কংক্রিট স্থাপন করা উচিত নয়। ম্যাস কংক্রিটের ক্ষেত্রে প্রতি স্তরে ৩০-৪৫ সেমি এবং আরসিসি এর ক্ষেত্রে ১৫-৩০ সেমি এর বেশি পুরুত্বে কংক্রিট স্থাপন করতে নেই।
হাটা অবস্থায় অর্থাৎ দাড়িয়ে কংক্রিট ঢালতে নেই। যতদুর সম্ভব খুব নিকট থেকে কংক্রিট ঢালতে হবে। 

কংক্রিটে ব্যবহৃত সিমেন্ট ও পানির অনুপাতক

কংক্রিটে ব্যবহৃত সিমেন্ট ও পানির
অনুপাতকে পানি সিমেন্ট অনুপাত বলে ।
অর্থাৎ, কংক্রিট মিশ্রণে পানির আয়তনের সাথে সিমেন্টের আয়তনের অনুপাতকে পানি সিমেন্ট অনুপাত বলে।
কংক্রিটের শক্তি নিয়ন্ত্রনে পানি সিমেন্ট অনুপাত
খুবই গুরুত্বপূর্ণ। পানির পরিমাণ নির্ভর করে মুলত,
প্রথমতঃ এগ্রিগেট ভিজানোর জন্য।
দ্বিতীয়তঃ কার্যোপযোগী করার জন্য।
তৃতীয়তঃ রাসায়নিক বিক্রিয়ার জন্য।

সিমেন্ট সর্বদা ওজনে পরিমাপ করা উচিত। কারণ ঢিলা অবস্থায় ঘনত্ব কম থাকে। তখন
প্রতি ঘনমিটার সিমেন্টের ওজন ১১২০ কেজি।
আবার সিমেন্ট যখন ঘনীভূত অবস্থায় থাকে থাকে, তখন প্রতি ঘনমিটার সিমেন্টের ওজন ১৬০২ কেজি। এক লিটার সিমেন্টের ওজন সাধারণত ১.৪৪ কেজি ধরা হয়।
প্রতি বস্তা সিমেন্টের ওজন ৫০ কেজি বা ৩৫ লিটার। তাই পানি সিমেন্ট অনুপাত ওজনে প্রকাশ না করে বরং প্রতি ব্যাগ
সিমেন্টে কত লিটার পানি লাগবে তা প্রকাশ করা হয়।
পানি সিমেন্ট অনুপাত একটা ভগ্নাংশ সংখ্যা। এ অনুপাত কংক্রিটের শক্তির উল্টানুপাতিক। অর্থাৎ, অনুপাতের মান যত কম হবে কংক্রিটের শক্তি তত বৃদ্ধি পাবে। সদ্য মিশ্রিত কংক্রিটের অবশ্য কার্যোপযোগীতা থাকতে হবে। কারণ, পানি বেশি হলে ঢ়ালাই করার সময় মোটা দানা উপাদান নিচে পড়ে যায়
এবং উপড়ে সিমেন্ট গোলা ভেসে উঠে। আবার পানির পরিমাণ খুব কম হলে মিশ্রণ নাড়াচাড়া ও ঢ়ালাই করা অসুবিধাজনক হয়। রাসায়নিক বিক্রিয়া ব্যাহত হয় এবং কংক্রিটের
ভিতরে ফাঁকা থেকে যায়। ফলে মধু চক্রিকার সৃষ্টি করে। উভয় অবস্থায় কংক্রিট দুর্বল হয়। সাধারণত পানির ওজন,সিমেন্টের ওজনের অর্ধেক হলে চলে।তবে বিশেষ শক্তির কংক্রিটের জন্য অনুপাতও ভিন্ন হয়।
যেমন: ১:১:২ অনুপাতের কংক্রিটের জন্য পানি সিমেন্ট অনুপাত প্রায় ০.৪৫ ।
১:১.৫:৩ অনুপাতের জন্য ০.৫০ এবং ১:২:৪ অনুপাতের কংক্রিটের জন্য ০.৫৫-০.৬৬ হয়ে থাকে। 

এক জন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব তথা কাজের পরিধি

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অফিস এবং মাঠ উভয়
পর্যায়ে কাজ করতে হয়।
• চুক্তিকারী এবং পরামর্শক ইঞ্জিনিয়ারদেরকে একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে হয়।
• তাদেরকে দুর্যোগ প্রশমন এবং ব্যবস্থাপনার
মত সংকটময় পরিস্থিতির সমাধানও করতে হয়।
• নির্মাণ প্রকৌশলীরা তেল রিগস, বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা অথবা বাড়ির নকশা এমন ভাবে তৈরি করেন যাতে নির্মাণ কাঠামোটি যে ভার
বহনের জন্যে তৈরি করা হয়েছে তা নিশ্চিৎ
করা যায়। তারা নতুন নতুন নির্মাণ সামগ্রী ও
কৌশল উদ্ভাবন করে থাকেন যেমন- বিশেষ ধরণের সেতু কাঠামো ও বিশেষ ধরণের
বিল্ডিং কাঠামো ইত্যাদি।
• পানি ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিনিয়াররা পানি সরবরাহ, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রনের উপর বিশেষভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন।
• হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগণ সাধারণতঃ রাস্তা ঘাটের পুননির্মাণ,ট্রাফিক লাইট, গলি, পার্কিং স্পেস ইত্যাদির পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন।
• হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগন প্রধানত রাস্তা নির্মান এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজের সাথে জড়িত। 

এক জন সিভিল ইঞ্জিনিয়ারের দায়িত্ব তথা কাজের পরিধি

সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদের অফিস এবং মাঠ উভয়
পর্যায়ে কাজ করতে হয়।
• চুক্তিকারী এবং পরামর্শক ইঞ্জিনিয়ারদেরকে একই সময়ে বিভিন্ন স্থানে কাজ করতে হয়।
• তাদেরকে দুর্যোগ প্রশমন এবং ব্যবস্থাপনার
মত সংকটময় পরিস্থিতির সমাধানও করতে হয়।
• নির্মাণ প্রকৌশলীরা তেল রিগস, বহুতল বিশিষ্ট গাড়ি পার্কিং ব্যবস্থা অথবা বাড়ির নকশা এমন ভাবে তৈরি করেন যাতে নির্মাণ কাঠামোটি যে ভার
বহনের জন্যে তৈরি করা হয়েছে তা নিশ্চিৎ
করা যায়। তারা নতুন নতুন নির্মাণ সামগ্রী ও
কৌশল উদ্ভাবন করে থাকেন যেমন- বিশেষ ধরণের সেতু কাঠামো ও বিশেষ ধরণের
বিল্ডিং কাঠামো ইত্যাদি।
• পানি ব্যবস্থাপনা ইঞ্জিনিয়াররা পানি সরবরাহ, পয়ঃনিস্কাশন ব্যবস্থা এবং দূষণ নিয়ন্ত্রনের উপর বিশেষভাবে পারদর্শী হয়ে থাকেন।
• হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগণ সাধারণতঃ রাস্তা ঘাটের পুননির্মাণ,ট্রাফিক লাইট, গলি, পার্কিং স্পেস ইত্যাদির পরিকল্পনা তৈরি করে থাকেন।
• হাইওয়ে ইঞ্জিনিয়ারগন প্রধানত রাস্তা নির্মান এবং ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার কাজের সাথে জড়িত। 

কলাম ঢালাই এর ক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় বিষয় ও সতকর্তা

কলামগুলো সাধারণত ১০ ফুট
উচ্চতর হয়ে থাকে।

কলাম ঢালাই করতে হবে দুই ধাপে।

প্রথমে ৪.৫০ ফুট তারপর বাকি ৪.৫০ ফুট।
বাকি ১ ফুট স্লাব কাস্টিং তথা স্লাব ঢালাইয়ের সাথে করতে হবে।
প্রতি ১ ব্যাগ সিমেন্টের জন্য ঢালাইয়ের সর্বোচ্চ ২৫ লিটার পানি ব্যবহার করা যাবে।

গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের হিসাব

ড্রইং রুমের গ্রেড বীমের হিসাব দেখানো হলো
(৫X৩)মি:[এখানে, দৈর্ঘ্য ৫ এবং প্রস্থ ৩]
গ্রেড বীমের আকার=(২৫X৩০)সেমি[প্রস্থ 0.২৫ এবং উচ্চতা 0.৩০মিটার]

রুমের যে দৈর্ঘ্য দেওয়া আছে তা সমান কলামদ্বয়ের মধ্যবর্তী দুরুত্ব ।

গ্রেডবীমের দৈর্ঘ্য বের করার নিয়ম:
দৈর্ঘের দিকে গ্রেড বীম আছে ২টা=২x৫=১০ মিটার
প্রস্থের দিকে গ্রেড বীম আছে ২টা =২x৩= ৬ মিটার
অতএব,গ্রেডবীমের মোট দৈর্ঘ্য হচ্ছে=১০+৬=১৬ মিটার
কাজের পরিমাণ= দৈর্ঘ্যxপ্রস্থxউচ্চতা
=১৬x.২৫x.৩০
=১.২ ঘনমিটার।

অতএব, গ্রেড বীমের আর.সি.সি কাজের
পরিমাণ=১.২ ঘনমিটার

কক্ষের প্লাস্টারের কাজের হিসাব

উদাহরণঃ একটা রুমের ভিতরের
দেওয়ালে প্লাস্টারের পরিমাণ নির্ণয় কর?
সমাধানঃ
রুমের আকার = ৫ মি X ৩.৫০ মি
চার দেওয়ালের দৈর্ঘ্য =২(৫+৩.৫০)= ১৭
মিটারভদেওয়ালের উচ্চতা =৩ মিটার
প্লাস্টার কাজের পরিমাণ=১৭ X ৩ =৫১ বর্গমিটার

বাদের হিসাব:
দরজার মাপ =৯০ X ২১০ সেমি, এবং সংখ্যা = ২ টি
জানালার মাপ =১৫০ X ১২০ মি, এবং সংখ্যা = ২ টি
ফাকা অংশের উভয় পাশ প্লাস্টার করা হলে এক পাশের মাপ বাদ দেওয়া হয় এবং জ্যাম্ব, সফিট, সীলের জন্য অপর পাশ ধরা হয়।
এক্ষেত্রে ফাঁকা অংশের মধ্যে স্থাপিত দরজা-
জানালা, দেয়ালের মাঝ বরাবর স্থাপিত হয়
বলে ভিতরের প্লাস্টারের কোন মাপ বাদ দেওয়া হয় না।

নিচে ফাঁকা অংশের পরিমাণ সম্পূর্ণ বাদ দিয়ে হিসাব দেখানো হলো-
ফাঁকা অংশের পরিমাণ= (২ X ০.৯০ X ২.১০ + ২ X ১.৫০ X ১.২০)
=৭.৩৮ বর্গমিটার

প্রকৃত প্লাস্টারের পরিমাণ =(৫১-৭.৩৮) =৪৩.৬২বর্গমিটা

নির্মাণ সামগ্রীর তালিকা ও একক ওজন

সাধারণ কংক্রিট- ২৩০০ কেজি/ঘনমিটার
আর.সি.সি - ২৪০০ ”
লাইম কংক্রিট - ১৯২০ ”
ইটের গাঁথুনী - ১৯২০ ”
এম.এস.রড - ৭৮৫০ ”
সিমেন্ট - ১৪৪০ ”
ইট - ১১১০ ”
পানি - ১০০০ ”
চুন - ৬৪০ ”
কয়লা - ৯০০ ”
শুকনা বালি - ১৬০০ ”
বিটুমেন - ১০৪০ ”
মার্বেল - ২৫৬০ ”
সিমেন্ট কংক্রিট - ২২৪০ ”
ইটের খোয়া - ১২০০ ”
পাথরের গাঁথুনী - ২৫৬০ ”
চুনা পাথর - ২৪০০ ”
চুনা মসলা - ১৭৬০ ”
বেলে পাথর - ২২৪০ ”
সিমেন্ট মসলা - ১৯২০ ”
জিপসাম মসলা - ১২০০ ”
কাদা - ১৭৬০ ”
সুরকি - ১০১০ ”
মাটি ভরাট - ১৬০০ ”
কোক কয়লা - ৫০০ ”
টালি - ৬৫ ”
হার্ডবোর্ড - ৭ ”
সি.আই.শিট - ১২ ”
টার - ১০১০ ”

‪‎সিঁড়ি‬(Stair) সম্পর্কিত প্রয়োজনীয় তথ্যাবলী

ইমারতের একতলা থেকে অপরতলায়
নিরাপদে,অনায়াসে এবং দ্রুত গমনাগমনের জন্য কতগুলো ধাপের সাহায্যে যে পথ নির্মাণ করা হয় তাকে সিড়ি বলে।রএটা একটি স্থায়ী কাঠামো। এ সিড়ি দালানের যে জায়গায় অবস্থান করে তাকে সিড়িঘর বলে। এটি ইমারতের এমন জায়গায় নির্মাণ করা উচিত যেন সহজে আলো-বাতাস পাওয়া যায়, ভবনের আবাসিকবৃন্দ স্বচ্ছন্দে প্রবেশ ও বের হতে পারে।
বসতবাড়িতে সিড়ির প্রস্থ ৯০ সেমি.
এবং পাবলিক ভবনের জন্য ১.৫-১.৮ মিটার হওয়া উচিত। আর ওঠা-নামার সুবিধার জন্য প্রতি ফ্লাইটে ১০-১২ টি ধাপ রাখা শ্রেয়।তবে ৩ টির কম ধাপ রাখা উচিত নয়।
সিড়ির হেডরুম কমপক্ষে ২.১-২.৩ মিটার হওয়া উচিত। আর ল্যান্ডিং এর চওড়া ফ্লাইটের চওড়ার কম হওয়া উচিত নয়।

বিভিন্ন প্রকার সিড়ির তালিকা:
একমুখী সিড়ি,
ডগ্-লেগড সিঁড়ি,
ওপেন নিউয়েল সিড়ি ,
জিওমেট্রিক্যাল সিড়ি,
বৃত্তাকার সিড়ি,
বাইফারকেটেড সিড়ি

সিঁড়ির ট্রেড ও রাইজারের মাঝে সম্পর্ক:
বিভিন্ন বিল্ডিং কোড দ্বারা নির্ধারিত নিয়ম-
কানুন মেনে সিড়ি স্ল্যাবের ট্রেড ও রাইজারের
মান নির্ণয় করা হয়। যেহেতু স্ল্যাবের ঢাল সাধারণত ২৫ থেকে ৪০ ডিগ্রি এর
মধ্যে রাখতে হবে, সেহেতু ট্রেড ও রাইজারের মধ্যকার সম্পর্ক বিশেষভাবে গুরুত্ব দেওয়া হয়।  নিম্নলিখিত নিয়ম অনুসরণ করলে ট্রেড ও রাইজারের সন্তোষজনক মান পাওয়া যায়।

আমেরিকান কোড অনুযায়ী(America n
Standard):
ট্রেড + রাইজার= ৪৪ সেমি.
ট্রেড x রাইজার= ৪০০-৪৫০ বর্গসেমি.

ইন্ডিয়ান কোড অনুযায়ী (IndianStandard):
ট্রেড + ২ x রাইজ=৬০ সেমি.
ট্রেড x রাইজার= ৪০০-৪১০ বর্গসেমি.

ACI কোড অনুযায়ী ট্রেড ও রাইজারের সবোর্চ্চ এবং সর্বনিম্ন মান হচ্ছে:
ACI কোড অনুযায়ী বসতবাড়িতে ব্যবহৃত
সিড়ি স্ল্যাবের রাইজারের পরিমাপ ১৫ হতে ১৮ সেমি এবং ট্রেডের পরিমাপ ২৩-২৭ সেমি।
পাবলিক বিল্ডিং এ ব্যবহৃত সিড়ি স্ল্যাবের রাইজারের পরিমাপ ১৪-১৫ সেমি এবং ট্রেডের পরিমাপ ২৫-৩০ সেমি হয়।

ওয়েস্ট স্ল্যাবের ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতি:
সিড়ির স্ল্যাবকে ওয়েস্ট স্ল্যাব বলা হয়।
মনে করি,
R=রাইজারের উচ্চতা,
T=ট্রেডের প্রস্থ,
S=ওয়েস্ট স্ল্যাবের পুরুত্ব,

ওয়েস্ট স্ল্যাবের ওজন নির্ণয়ের সুত্র= SxR2+T2x 24/T

সিড়ির ধাপের ওজন নির্ণয়ের পদ্ধতি:
ধাপের ওজন নির্ণয়ের সুত্র হলো W=১২Rকেজি/বর্গমিটার
এখানে,
R=রাইজারের উচ্চতা
W=ওজন

123123