প্রাথমিক জমাট বাধা সময় আরম্ভ হওয়ার পূর্বেই কংক্রিট স্থাপন এবং কম্পাকশন করা উচিত। কংক্রিট স্থাপনায় বিশেষ সতকর্তা অবলম্বন করা প্রয়োজন। উঁচু হতে কংক্রিট
ফেলে দিলে অপেক্ষাকৃত ভারি কণাগুলো নিচে পড়ে যায় এবং কংক্রিট উপাদানসমুহের সেগ্রিগেশন ঘটে।
কংক্রিটে এটা সর্বোতভাবে পরিহার্রয।তাই
আনুভুমিক স্তরে স্তরে কংক্রিট স্থাপন
করতে হয়। এ জন্য কোন অবস্থাতেই এক মিটারের বেশি উঁচু স্থান হতে কংক্রিট ফেলা উচিত নয়।
কংক্রিট স্থাপনের পূর্বে ফর্মওয়ার্ক শক্ত এবং ঠিক অবস্থানে আছে কিনা তা পরীক্ষা করে দেখতে হবে।
ফর্মওয়ার্ক এর অন্তঃস্থ প্বার্শ পরিষ্কার ও
তৈলাক্ত হতে হবে। জোড় সংখ্যক স্তরে কংক্রিট স্থাপন করতে হবে। প্রতি স্তরে ১৫-৩০ সেমি পুরুত্বের কংক্রিট স্থাপন করতে হবে।
একটি স্তরকে কম্পাকশন করার পর পরবর্তী স্তরের কংক্রিট স্থাপন করতে হবে। শক্ত হওয়ার পূর্বে কংক্রিট স্থাপনের কাজ শেষ
করতে হবে।কোন অবস্থাতেই কংক্রিট মিশ্রণে পুনরায় পানি দেওয়া যাবে না। কম্পাকশন
করার সময় যাতে প্রয়োজনের অতিরিক্ত
কংক্রিটকে পুন:স্থাপন করতে না হয় সেদিকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
অন্যথায় সাটারিং, রিইনফোর্সমেন্ট এবং অন্যান্য দ্রব্য স্থানচ্যুত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
কংক্রিট স্থাপনার সময় নিম্নলিখিত সতর্কতাগুলো মেনে চলা উচিতঃ
অবিরামভাবে কংক্রিট স্থাপন করতে হবে।
অনিয়মিত এবং খাড়াভাবে ফেলা যাবে না।
কংক্রিট স্থাপনের পূর্বেই ফর্মওয়ার্ককে ভালভাবে তৈলাক্ত করতে হবে।
কংক্রিট স্থাপনার সময় ফর্মওয়ার্ক ও
রিইনফোর্সমেন্টকে আলোড়িত করা চলবে না।
সেগ্রিগেশন পরিহার করতে হবে।তাই ১ মিটারের বেশি উচু স্থান হতে কংক্রিট ফেলা যাবে না। বৃষ্টির মধ্যে কংক্রিট স্থাপন করা উচিত নয়। ম্যাস কংক্রিটের ক্ষেত্রে প্রতি স্তরে ৩০-৪৫ সেমি এবং আরসিসি এর ক্ষেত্রে ১৫-৩০ সেমি এর বেশি পুরুত্বে কংক্রিট স্থাপন করতে নেই।
হাটা অবস্থায় অর্থাৎ দাড়িয়ে কংক্রিট ঢালতে নেই। যতদুর সম্ভব খুব নিকট থেকে কংক্রিট ঢালতে হবে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন