শুক্রবার, ৯ জানুয়ারী, ২০১৫

building এর বেইজ ডিজাইন করার আগে করনীয়


অবশ্যই বিল্ডিং এ আগত লোড সম্পর্কে অবগত হতে হয় । যেসব লোডগুলো অবশ্যই হিসাব করা উচিত, সেগুলো নিয়েই আজকের আলোচনাঃ

১. ডেড লোডঃ কাঠামোর উপর
স্থায়ীভাবে চাপানো লোডই হলো ডেড লোড।
যেমন- ছাদ, বীম, দেয়াল, কলাম, স্থায়ী যন্ত্রপাতি ইত্যাদি । কাঠামো, মালামালের আকার-আকৃতির মাধ্যমে এ লোডের হিসাব করা হয় ।
২.লাইভ লোডঃ কাঠামোর উপর অস্থায়ীভাবে চাপানো লোডই হলো সচল লোড ।
যেমন- লোকজন, আসবাবপত্র, যন্ত্রপাতি ইত্যাদি । সঠিকভাবে এ লোডের হিসাব করা কঠিন ।
তাই বিল্ডিং কোড অনুযায়ী এসব লোড হিসাব করা হয় ।
৩. উইন্ড লোডঃ কাঠামোর বাইরের পৃষ্ঠে ঝড়, বাতাস ইত্যাদির কারনে উদ্ভুত লোডই, উইন্ড লোড । কাঠামোর যেদিকে বাতাস লাগে, সেদিকে ভিত্তির উপর চাপ কমে যায় এবং অপরদিকে চাপ বেড়ে যায় ।
এ লোডও বিল্ডিং কোড অনুযায়ী হিসাব করা হয় ।
৪. মাটির চাপঃ কাঠামোর
উপর মাটি কর্তৃক প্রদত্ত চাপকেই মাটির চাপ বলে ।
র্যানকিনের সূত্র অনুযায়ী এ
চাপ হিসাব করা হয় ।
৫. পানির চাপঃ যখন কোন ভিত্তি পানি তলের নিচে অবস্থিত থাকে,
তখন পানি ঐ ভিত্তিকে আনুভূমিক ও
উর্দ্ধমুখী চাপ প্রয়োগ করে । এটাই পানির চাপ ।
৬. ভূকম্পন লোডঃ ভূ-কম্পন জনিত কারনে সৃষ্ট বল সাধারনত ভিত্তিতে উলম্ব নিচের দিকে বা
মোচড়ানোভাবে যে কোন দিকে কাজ করে । ভূ-কম্পন বল বাংলাদেশের জন্য খুবই হুমকি সরূপ ।
তাই এটিকে অধিক গুরুত্ব দেয়া উচিত ।
৭. তুষার লোডঃ শীত প্রধান দেশে সমতল পৃষ্ঠে বা ছাদে প্রচন্ড বরফ পড়ে । তাই এসব দেশে এই লোডেরও হিসাব করা হয।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

123123